জিন কত প্রকার ও কি কি

জিনজাতির অস্তিত্ব


‘জিন’ শব্দের অর্থ ও পরিচিতি

হযরত ইবনে দুরাইদ (রহঃ) বলেছেনঃ 'জিনজাতি মানুষদের থেকে আলাদা এক সৃষ্টি। জ্বিন শব্দের (মোটামুটি) অর্থ গুপ্ত, অদৃশ্য, লুক্কায়িত, আবৃত প্রভৃতি । জিন্নাহ্, জ্বিন ও জ্বান বলতে একই জিনিস বোঝালেও ‘জিন' হলো জিন্নাত বা জিনজাতির এক বিশেষ প্রজাতি।


জিন কারা

হযরত আবূ উমার আয্-যাহিদ বলেছেনঃ জিন্নাত বা জিনজাতির কুকুর ও ইতর শ্রেণীকে বলা হয় জ্বিন।


জ্বান কারা

হযরত জাওহারী বলেছেনঃ 'জ্বান' হলো জিনজাতির বাপ বা আদিপিতা অর্থাৎ আবূল জ্বিন।


জ্বিনকে জ্বিন বলা হয় কেন

হযরত ইবনে আকীল হাম্বালী (রহঃ) বলেছেনঃ লুকিয়ে থাকা ও চোখের আড়ালে থাকার কারণে জ্বিনকে জ্বিন বলা হয়।

জিন কত প্রকার ও কি কি, জিন কি বিজ্ঞান, জিন শব্দের প্রবক্তা কে, জিন এর কাজ কি, জিন কী, জিন শব্দটি প্রথম কে ব্যবহার করেন, জিন বলতে কী বোঝায় class 8, জিন কোথায় থাকে, জিন কোথায় থাকে জীবন বিজ্ঞান, জিন কী, জিন এর কাজ কি, জিন বলতে কী বোঝায় class 8, জিন কি বিজ্ঞান, জিনের কাহিনী, জিন কি খায়, জ্বীনের ছবি,
জিনের ছবি


শয়তান কারা

আল্লামা ইবনে আকীল বলেছেনঃ শয়তানরা হলো এক শ্রেণীর জিন যারা আল্লাহর অবাধ্য এবং এরা (অভিশপ্ত) ইবলীসের বংশধরদের অন্তর্গত।


মারাদাহ্ কারা

আল্লামা ইবনে আকীলের মতেঃ জিনজাতির মধ্যে যারা অত্যন্ত অবাধ্য ও চূড়ান্ত পর্যায়ের পথভ্রষ্ট তাদেরকে বলা হয় মারাদাহ্ । 


জিন কত প্রকার ও কি কি

হাফিয ইবনে আবদুল বার্ বলেছেনঃ ভাষাবিশারদদের মতে, জ্বিনদের কয়েকটি শ্রেণী রয়েছে। যেমন

১. জিনঃ অর্থাৎ সাধারণ জিন

২. আমির (বহুবচনে উম্মার): মানুষের সাথে থাকে

৩. আরওয়াহ্ঃ সামনে আসে

৪. শয়তানঃ উদ্ধত, অবাধ্য

৫. ইফরিতঃ শয়তানের চাইতেও বিপজ্জনক।


জিনজাতির অস্তিত্বের প্রতি সব মুসলমান একমত 

শায়খ তাকীউদ্দীন ইবনে তাইমিয়াহ্ (রহঃ) বলেছেনঃ দলমত নির্বিশেষে মুসলমানদের কেউ-ই জিনজাতির অস্তিত্ব অস্বীকার করেনি। অধিকাংশ কাফিরও জ্বিনদের অস্তিত্ব স্বীকার করে। কেননা জিনদের অস্তিত্ব সম্পর্কে নবী-রসূলদের উক্তি লাগাতারভাবে সকল শ্রেণীর মানুষের কাছ পর্যন্ত পৌঁছেছে। যা আম-খাস নির্বিশেষে সকলের পক্ষে জেনে যাওয়া স্বাভাবিক। কেবল অজ্ঞ দার্শনিকদের নগণ্য এক গোষ্ঠী ছাড়া জিনজাতির অস্তিত্বকে কেউ-ই অস্বীকার করে না।


‘কারিয়া’ ফির্কার অভিমত 

কাযী আবূ বাকর বাকিলানী বলেছেনঃ 'কাদরিয়া' ফিরকার পুরানো যুগের অধিকাংশ মুরুব্বী তো জিনজাতির অস্তিত্ব স্বীকার করতেন। কিন্তু বর্তমানের মুরুব্বীরা অস্বীকার করেন। অবশ্য এঁদের মধ্যে কিছু মানুষ এখনও জ্বিনদের অস্তিত্ব স্বীকার করেন এবং বলেন- জ্বিনদের শরীর সূক্ষ্ম হওয়ার কারণে এবং ওদের মধ্যে রশ্মি প্রবাহের জন্য আমরা দেখতে পাই না। আবার ঐ ফির্কার কতক ব্যক্তির মতে, জিনদের দেখা না যাওয়ার কারণ ওদের কোনও রং বা বর্ণ না থাকা। যেমন হাওয়ার কোনও রং নেই বলে দেখা যায় না।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ